নেশা
আমরা সবাই আসক্ত:
যেটার ভিতরে নেশা খুজে পায় সে সেই জিনিস টার পিছে ছুটে বেড়ায়। এক সময় এই নেশার
বস্তুই তার জিবনের মোড় ঘুরিয়ে দেয়। মোড় ঘুরনোর পরিমান টা নির্ভর করে কে কতটুকু
আসক্ত। আমার জানামতে আজ পর্যন্ত যারা সফল হয়েছে সবাই নেশায় আসক্ত
ছিলেন। এখন আপনি বলতে পারেন যে নেশা-ই সফলতার চাবি কাঠি। কারন কোন কাজে
সফল হতে হলে তার পিছনে লেগে থাকতে হয় এই লেগে থাকাটাই নেশা । কারো নেশা
প্রযুক্তি পন্য নিয়ে, কারো বইপড়া, কারো যন্ত্রাংশ নিয়ে, কারো বই পড়া আরো অনেক
কিছুই আছে যেগুলোর প্রতি আমরা আশক্ত।
এই আসক্তি বড়ই বেহায়া, সব সময় পিছে লেগে থাকে।
আরো একটা নেশার জগত আছে। এ জগতেরও সবাই আশক্ত। কিন্ত এরা আপনার আমার
মত নেশায় আশক্ত নয়। এরা ভয়ংকর মাদকে আসক্ত। এরা উপরের বিষয় গুলোর মত
আশক্ত নয় এরা আশক্ত মদ, গাজা, হিরোইন, ভাং, সিগারেট ইত্যাদিতে। এ নেশায় কেউ
উন্নতি করতে পারে না। উল্টো অবনতির দিকে ধাবিত হয়। সাধারনত জীবনের চরম
হতাশা, অসৎ সংঙ্গ, অপমান, বেকারত্ব, ব্যার্থতা, প্রেম ঘটিত ব্যাপার, কিছু
কৌতুহল।এসবের দুঃখ ভুলে থাকার জন্যই মানুষ মাদক সেবন করা শুরু করে।
এরাও উন্নতি করতে পারবে শুধু এদের নেশাটা কে পাল্টে দিতে হবে। এদের এদের দিয়ে
এমন কিছু করাতে হবে যাতে এরা নেশা করার সময় না পায়। যেমন ধরেন এদের মধ্যে যে
ছেলেটা বেকার তাকে একটা কাজের ব্যাবস্থা করে দেই। যে অসৎ সংঙ্গের জন্য আজ
ওই পথে তাকে ওই দল থেকে বের করে নিজে একটু মেশার চেষ্টা করি। যে ছেলেটা নিছক
কৌতুহল বসতো আজ অন্ধকার জগতে তার কৌতুহল টা বই পড়ার দিকে বাড়িয়ে দেই। যে
ছেলেটা একটু বিনোদেন জন্য এই নেশার পথে তাকে বিনোদনের অন্য একটা জগতের সাথে
পরিচয় করিয়ে দেই।
শুধু এই দুটো না, এরকম হাজারো পদ্ধতি আছে যার দ্বারা এদের পরিবর্তন করা সম্ভব।
শুধু একটু সময়, একটু সহযোগিতা প্রয়োজন। তবে একটু তো কষ্ট হবে। তাই বলে কি
থেমে থাকতে হবে ? না। কষ্ট না করলে কেষ্ঠ মেলেনা। এদের পিছনে একটু লেগে থাকতে
হবে। কাজ টা সময় সাপেক্ষ।
উদাহরনঃ আমি যে মেসে থাকি সেই মেসের বর্ডাররা(সদস্য) আগে এক সময় প্রচুর
সিগারেট খেতো আর এখন সিগারেটের ছাই দেখা যায় না বললেই চলে। এর জন্য আমাদের
লেগেছিলো এক বছর সময় আর কিছু উদ্দোগি মানুষ ( আমাদের মেসে বর্ডার(সদস্য)
সংখ্যা ১০০ জন আর আর এই পরিবর্তন ঘটিয়েছি আমরা ৪/৫ জন)।
প্রত্যেক এলাকায় এরকম কিছু সচেতন উদ্দোগি মানুষ থাকলেই হয় আর বাকিরা শুধু
সার্পোট দিবে। তাহলেই আমরা সমাজ কে মাদক থেকে মুক্ত করতে পারব। প্রথমে ছোট
কিছু দিয়ে শুরু করি যেমন: যদি পরিবারে এমন আসক্ত কেউ থেকে থাকে, প্রতিবেশি কেউ
হতে পারে, নিজের বন্ধু ও হতে পারে। আগে এদের দিয়ে শুরু করি। এর পর বড় কিছু করা
যাবে।
আর সব থেকে বড় উপায় হচ্ছে ধর্মীয় রীতি নীতি মেনে চলা। এর থেকে বড় ঔষধ আর
পৃথিবীতে নেই। যে ব্যাক্তি পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ে, সব নিয়ম মেনে চলে তার পক্ষে
কোন নেশা বা হারাম জাতীয় কোন কাজ করা অসম্ভব।
আমাদের সমাজ আমাদেরকেই ঠিক করতে হবে। এ দায়ীত্ব আমাদের।
আসেন না আমরা সবাই মিলে চেষ্টা করি এদের এই নেশার বস্তুটা কে বদলানোর।
#হাসিব
No comments